জাকিয়া সুলতানা মুক্তা

সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

‘মানবিক বিয়ে’ ও ‘সুগার ড্যাডি’ সংস্কৃতি গড়ায় সমাজের কি দায় নেই?

সাম্প্রতিক সময়ে দু’টো চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ‘মানবিক বিয়ে’ ও ‘সুগার ড্যাডি’ শব্দ দু’টি আলোচনায় এসেছে। উভয় শব্দই সামাজিক দু’টো অসঙ্গতিপূর্ণ চর্চাকে সামনে এনেছে। তার মাঝে একটি হলো ধর্মের নামে আর অপরটি হলো অর্থের জোরে নারীকে পণ্যের ন্যায় ব্যবহার করার সাংস্কৃতিক চর্চা। উভয়ক্ষেত্রেই নিপীড়িত বা অধস্তন লৈঙ্গিক পরিচয়ে নারী এবং নিপীড়ক বা ঊর্ধ্বতনের পরিচয় লৈঙ্গিকভাবে পুরুষ। এরকম ঘটনা এই সমাজে বিরল নয়, বরং এসব বিষয় সমাজে অহরহ ঘটছে। কিন্তু সমাজমনস্তত্ত্ব এসব ঘটনায় নিপীড়কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে, প্রশ্ন তুলছে নিপীড়িতকে নিয়ে। তার মানে তাহলে এটাই দাঁড়ায় যে~ সমাজ ও সংস্কার চায় এরকম চর্চা বজায় থাকুক; কিন্তু নিপীড়িত নিপীড়কের দিকে অভিযোগ না তুলুক। যেহেতু অভিযোগ তুললেই সমাজ ও সংস্কারগুলো নিপীড়িতের নীতি-নৈতিকতা আর সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলে, অন্যদিকে নিপীড়কের বিরুদ্ধে তেমন কিছুই বলে না। 

নীতি-নৈতিকতা আর মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুললে, সর্বপ্রথম তোলার প্রয়োজন রয়েছে বিদ্যমান সমাজ ও সংস্কার নিয়ে। কী আছে সমাজ আর সংস্কারের বিধানে? এ দু’টো ঘটনার প্রেক্ষিতেই দেখা যাক। প্রথমত ধর্মের নামে মামুনুল হকেরা যে ‘মানবিক বিয়ে’ নামক গল্প ফাঁদে, সেখানে নীতি-নৈতিকতা আর মূল্যবোধ কোথায় আছে? একইভাবে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলে সায়েম সোবহান আনভীর’র বিরুদ্ধে ওঠা ‘সুগার ড্যাডি’ হওয়ার গল্পটাতে মূল্যবোধের চর্চা, নীতি-নৈতিকতার বালাই কোথায় আছে? সমাজ কি তাদের নিয়ে কিছু বলতে পারছে? আইন কি তাদের নিয়ে স্বচ্ছ ভূমিকায় যেতে পারছে? নিদেনপক্ষে সংবাদমাধ্যমগুলো কি সত্য উন্মোচন করতে পারছে তাদের ব্যাপারে? উত্তরটা স্বাভাবিকভাবেই না-বোধক। কেনো না-সূচক? এজন্যই তা ঋণাত্মক যে, এদের পেছনে অর্থ-বিত্ত-ক্ষমতা ও সমমানসিকতার বিপুল সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সমর্থন রয়েছে। অর্থাৎ মূল পচনটা সমাজ আর সংস্কারের মাঝে লুক্কায়িত। সমাজ ও সংস্কার নিপীড়ক সৃষ্টি করছে এবং সেটা বিভিন্ন উপায়ে। কখনো অর্থ-বিত্ত আর ক্ষমতার দাপটে আর কখনো সংস্কারের নামে অন্ধ মোহে। নিপীড়িত এখানে ক্রীড়ানক নয়, নটবর হলো যে নিপীড়ক স্বয়ং সে এবং তার সমর্থিত সমাজ ও সংস্কার। 

যে সমাজের আচরিত সংস্কারে জান্নাত আরা ঝর্ণারা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই পরিবারের সিদ্ধান্তে স্বামী-সন্তানের দায়িত্ব নিতে বাধ্য হয়, এমনকি স্বামী-পরিত্যক্তা হওয়ার পর তাদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থান নাজুক থাকে; সেই সমাজে মামুনুলদের পূর্নাঙ্গ স্ত্রীর মর্যাদারহিত প্রলোভনে সাড়া দেয়া ব্যতীত অনেক সময়ই করণীয় আর কিছু থাকে কিনা তা ভেবে দেখা প্রয়োজন আছে। কারণ, এই ঝর্ণাদের তো এ সমাজের সংস্কারগত আচারের কোথাও আর্থিক-মানসিকভাবে সাবলম্বী হতে শেখানো হয়নি। দেয়া হয়নি স্বেচ্ছায় সম্পূর্ণ নিজের সিদ্ধান্তে জীবন বেছে নেয়ার সুযোগও। সমাজ কি সেই সংস্কারের অমানবিক নারীবিদ্বেষী আচারগুলো নিয়ে কখনো প্রশ্ন তুলেছে? ঘৃণা জানিয়ে প্রতিবাদ করে বলেছে- ‘নারী-পুরুষের একত্রবাস বা যেকোনো দু’টি পক্ষের একত্রবাসের মধ্যকার স্বচ্ছতার প্রয়োজন আছে। সম্পর্কের যেকোনো পক্ষ একে-অপরের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সমাবস্থানে থেকে পারস্পরিক মতামত প্রকাশ করতে পারবে। যে সংস্কার একপক্ষকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়ে ঊর্ধ্বতন অবস্থান দিয়ে আর অপরপক্ষের বেলায় অধস্তন করে রাখার বিধান রেখে বিধিব্যবস্থা চালু করে; সেই সংস্কারের সমালোচনায় সমাজ দ্বিধাহীনচিত্ত কিনা? ধিক্কার জানাই এইসব বিধিব্যবস্থাকে।’ বলেছে কখনো? না, বলেনি। বলবে না। কেন বলবে না তার অনেক ব্যাখ্যা আছে। 

অন্যদিকে, সমাজে সায়েম সোবহান আনভীরের মতন ধণিক শ্রেণির জন্য রাষ্ট্র-সরকার ব্যবস্থা-আইন-আদালত-সামাজিক মূল্যায়ণ কুক্ষিগত রেখে, অর্থাৎ সমাজে বৈষম্য টিকিয়ে রেখে আর আইনের শাসন নিশ্চিত না করে; নিপীড়িত মুনিয়াদের কাছে মূল্যবোধ আর নীতি-নৈতিকতা প্রত্যাশা করলে তা যৌক্তিক হয় কিনা ভেবে দেখা দরকার। যে সমাজ অবৈধভাবে অর্থের পাহাড় গড়াদের বিপক্ষে কিছুই করার ক্ষমতা রাখে না, ভূমিদস্যু আর খুনী সিন্ডিকেটের পক্ষে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যায়; সেই সমাজ মূল্যবোধে আর নীতির প্রশ্নে কতটা নম্বর পাবে যে, সমাজ একজন মৃত নারীর ও তার পরিবারের নৈতিকতার কাঁটাছেঁড়া করতে বসে যায়। অথচ নিপীড়কের দিকে একটা আঙুল তোলারও সাহস রাখে না। সমস্ত সংবাদমাধ্যম, সব সচেতন-অসচেতন জনসাধারণ যে খুন করার বা আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়া শিল্পপতির নাম প্রকাশ না করে, নিপীড়িত মেয়েটির নাম-ধাম-পরিচয় ও জীবনাচারণ সবার সামনে উন্মোচিত করলেন; তার সাথে দ্বিচারিতা, নষ্টামির একটা জোরালো যোগসূত্র যে আছে তা অনুধাবন করেছেন একবারের জন্য? কেউ কি এটাও নিশ্চিত যে মেয়েটা সত্যিই ওই লোকের ‘রক্ষিতা’ ছিলো কিনা, সেতো তার বান্ধবীও হতে পারে। আর অল্প বয়সের একটা মেয়ে প্রেমের টানে ভুল করেনি এ কথা কি সবাই নিশ্চিত? তার বয়সটা কি ভুল করার পক্ষে নয়? আর পরিবারের কথা তোলা হচ্ছে, মেয়েটার বাবা-মা তো নাকি মৃত। মেয়েটা ও তার বড় বোন দু’জন এতিম ও সমাজের চোখে সুন্দরী। তো দু’জন সুন্দরী মেয়ের প্রতি এই সমাজ কি যথেষ্ট সহযোগিতাপ্রবণ? কেউ জানে তাদের বাস্তবতা ঠিক কী ছিলো? কী কারণে তাদের এই পরিণতি? কিন্তু সবাই বসুন্ধরা গ্রুপের নানান অসঙ্গতির বিষয়ে কম-বেশি অবগত। কেনো সেসব পূর্বকৃত অমীমাংসিত অন্যায়গুলো আড়ালে চলে যাচ্ছে, একটা স্বেচ্ছায় কিংবা বাধ্য হয়ে বিরুদ্ধপথে চলে যাওয়া মৃত একটা মেয়ের চরিত্রের বিচার-বিশ্লেষণ করতে গিয়ে? 

হ্যাঁ! যেকোনো সচেতন মানুষ হিসেবে প্রতারক কারোর ফাঁদে না পড়ার পরামর্শ বা প্রত্যাশা রাখাই যায় দুর্বল কারোর কাছে। কিন্তু একবারের জন্য নিজেদের প্রশ্ন করে দেখুন, এসব ফাঁদে আপনারাও পড়ে আছেন কিনা? দেখবেন সমাজের সবাই এইসব সংস্কারের নামে, অর্থ-বিত্ত-ক্ষমতার দাপটের কাছে নানান দুষ্টুচক্রে আটকে আছেন। নইলে কেনো মামুনুলদের নিয়ে কিছু বলতে গেলে আপনাদের বুক কাঁপে? কেনইবা বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলেদের নাম প্রকাশ করতে আপনারা পারেন না? তখন কেনো আপনাদের মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে ক্ষমতাবানদের কল্যাণে ঝুঁকে পড়ে? কেনো এর আগেও এই একই গ্রুপের মালিকের আরেক সন্তানের বিরুদ্ধে ওঠা খুনের অভিযোগ ২১ কোটি টাকার হিসাবের ভীড়ে, স্বয়ং তৎকালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎজ্জামান বাবরের মেরুদণ্ডটাও বেঁকে গিয়েছিলো? তৎকালের জাতীয় দৈনিকগুলোর বরাতে জানা যায়,

সাব্বির হত্যা ধামাচাপা দিতে বসুন্ধরা গ্রুপ ঘটনার পরপর তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ২১ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিল, যা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তেও উঠে এসেছে। তবে বসুন্ধরা গ্রুপ বাবরকে অর্থ দিয়ে হত্যাকাণ্ডটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও সিআইডির তদন্তে শাহ আলমের ছেলে সানবীরসহ তিনজন অভিযুক্ত হন।

(তথ্যসূত্র-দৈনিক যুগান্তর, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪, এখানে ক্লিক করে পড়তে পারেন)

কেনইবা চার চারটা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্মানিত সাহসী সম্পাদক ও সাংবাদিকদের কলম থেকে বর্তমানে অভিযুক্ত ব্যক্তির ব্যাপারে কোনো কথাই সেই অর্থে প্রচারিত হয় না? কীসের ভিত্তিতে রাষ্ট্র, সমাজ, আইন তাদের পক্ষে বিনা দ্বিধায় দাড়িঁয়ে যায়? যখন অবৈধ অর্থ আর ক্ষমতার অপব্যবহারের যথেচ্ছাচারের চূড়ান্ত করে এইসব ধর্মব্যবসায়ী আর শিল্পপতিরা, কোথায় থাকে তখন সমাজের এই নৈতিকতার কাঠগড়া? কেনো সমাজ অন্যায়কারীর অপরাধের বিচার চাইতে গিয়ে ইনিয়ে-বিনিয়ে ‘যদি, কিন্তু, তবে’-সর্বস্ব বাক্যের তীরে, নিপীড়িতকে নৈতিকতার প্রশ্নে কাঠগড়া দাঁড় করায়? এতে নিপীড়িতের কোনো ভুল থাকলে তার শাস্তি নিশ্চিতভাবেই দেয়া হয়, কিন্তু নিপীড়কের বেলায় যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা যায় কি? যদি না যায়, তবে সমাজ ও সংস্কার কি প্রকারান্তরে নিপীড়কের পক্ষে দাড়াঁলো না? এটা বোঝাটা কি খুব কঠিন যে এই ঝর্ণা আর মুনিয়ারা হলো ফাঁদে পড়া ঘুঘু, ফাঁদ পাতা কুশীলব নয়।

সবার আগে প্রয়োজন এইসব ফাঁদ পাতা প্রতারকদের আইনের আওতায় আনার, তারপরের প্রশ্ন আসে ফাঁদে পড়াদের কী কী ভুল ছিলো তা বিবেচনা করার। ঝর্ণা বা মুনিয়ারা নৈতিকভাবে অবক্ষয়ের প্রশ্নে আটকানোর আগে, এই রাষ্ট্র-সমাজ-আইন-আদালত নৈতিকভাবে আগে আটকে যায়, এটা বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা বিক্রি হয়ে গেছে সবার আগে। তাই নিপীড়িতের নৈতিক অবক্ষয়ের মূল ধরে আগে না টেনে, সমাজ কি এতটুকু সুশিক্ষার ও নৈতিকতার ভিত্তিতে বলতে শিখতে পারে না যে- ‘সবার বিচার পাওয়ার অধিকার আছে, তা সে সমাজের চোখে যদি মূল্যবোধের প্রশ্নে আটকে যাওয়া ঝর্ণা বা মুনিয়াও হয়; তারও আছে।’ সুষ্ঠু বিচারের প্রশ্নে আপোস না করে যেন আগে থেকেই কোনো মিডিয়া ট্রায়ালের নামে, অভিযোগকারীর অভিযোগকে উড়িয়ে দেয়া না হয়। সবার আগে যেন এসব ক্ষেত্রে বিবেক ও বিবেচনাকে আরও একটু সৎ রেখে কাউকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। কারণ, কারোর ব্যক্তিগত জীবনাচার তার ব্যক্তিগত। সে লোভে পড়েই যাক বা ফাঁদে পড়েই সেই আচার পালন করুক না কেনো; সেই জীবনাচার যদি অন্য কারোর জীবনের এতটুকু ক্ষতি না করে থাকে, তবে তা নিয়ে উপযাজক হয়ে মন্তব্য করা কোনো সভ্য আচরণ হতে পারে না। 

আর এইসব ‘মানবিক বিয়ে’ আর ‘সুগার ড্যাডি’ সংস্কৃতি নারী অবমাননার একেকটা ফাঁদ। এসব ফাঁদে নারীরা কেউ না বুঝে, কেউ বাধ্য হয়ে কিংবা কেউ কেউ বুঝে-শুনে লোভেও অনেকে পড়ে; তাতে নারী অবমাননার প্রেক্ষিতটা কিন্তু বিন্দুমাত্র পালটে যায় না। কারণ, লোভ ও ভয় দিয়ে গড়া একেকটা সামাজিক ও সংস্কারের চর্চার এই সমাজে এই ধরনের উচ্চাভিলাষকে নিয়ে প্রশ্ন করাটাও আরেক ধরনের দ্বিচারিতা। দ্ব্যর্থহীন চিত্তে একথা কতজনে বলতে পারবেন যে এসব লোভনীয় প্রস্তাব থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারবেন, যদি এরকম ঝর্ণা বা মুনিয়ার মতন জীবন আপনাদের কারোর জীবনে ঘটে কখনো? বাধ্য হয়ে থাকেন যদি কোনো মানসিক, সামাজিক ও আর্থিক ফাঁদে, আপনারা নিশ্চিত যে এসব অন্যায়কে প্রতিরোধ করতে পারবেন বা পারতেন সবাই? মনে হয় না পারতেন সবাই, বলা ভালো অধিকাংশজনই পারতেন না। কারণ, ‘কী করলে কী পাবেন’- এই ধরনের পারস্পরিক ‘গিভ এণ্ড টেক’ বিনিয়োগের চর্চা নানান আধ্যাত্মিক ও সামাজিক সংস্কারেই প্রোথিত। আগে সেইসব সংস্কারগুলোকে, সামাজিক চর্চাকে পরিশোষণের উদ্যোগ নিলে ভালো হয়। সবচেয়ে জরুরি হলো, সমাজ ও রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। 

উল্লেখ্য, বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলে সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তথ্যসূত্র- (এখানে ক্লিক করে পড়্রুন)

1870 times read

নারী'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত নারী'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় নারী কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। নারীতে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।