খাতুনে জান্নাত

কবি, প্রাক্তন শিক্ষক ও প্রশিক্ষক।

ঋতুমতী-বন্ধ্যা সময়

রজঃচক্র বা ঋতুচক্র বা ইংরেজিতে মিনিস্ট্রেসন  বলতে নারীদেহের ২৮ দিনের একটি পর্যায়ক্রমিক শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া বোঝায়। প্রথম শুরু হয় সাধারণত এগারো বা বারো বছর বয়সে শরীরের গঠন অনুযায়ী ১৪-১৫ বছরেও হতে পারে এবং তারপর থেকে প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে হয়। এই চক্র আটাশ দিন পর পর বা তার কিঞ্চিৎ আগে বা পরেও হতে পারে। মাসিক রজঃচক্রকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে।

১. মেনোস্ট্রুয়াল পর্যায় এর স্খিতিকাল হলো পাঁচ থেকে সাত দিন বা তিন থেকে চার দিন। এ সময় যোনীপথে রক্তমিশ্রিত রস ক্ষরণ হয়। এতে রক্তের সাথে জরায়ুর অভ্যন্তরীণ অস্থায়ী স্তরের খসে পড়া কোষ কলা এবং কিছু কিছু গ্ল্যান্ডের রস মিশ্রিত থাকে। এ ছাড়া এক ধরনের টিপিক্যাল পথ থাকে যা থেকে বোঝা যায় এটি মাসিক ঋতুস্রাবের পথ।

২. প্রলিফেরাটিভ পর্যায়, এই ফেজ বা সময়ে জরায়ুর অভ্যন্তরে ঝরে যাওয়া কোষ বা কোষের স্তরগুলো ফিমেল হরমোনের প্রভাবে আবার তৈরি হতে শুরু করে।


৩. সিকরেটরি পর্যায়, এই সময় জরায়ু বা মাতৃজঠরের অভ্যন্তরের প্রতিটি গ্রন্থি রস নিঃসরণের জন্য একেবারে তৈরি হয়ে থাকে। গ্রন্থি ও তার মধ্যবর্তী স্ট্রমা বা টিস্যুতে রস জমে থাকে। যৌনসঙ্গমের ফলস্বরূপ পুরুষের শুক্রাণু  নারীর ডিম্বাণু কর্তৃক গৃহীত হলে সেটি জরায়ুতে ইমপ্ল্যান্ট প্রোথিত হয়। শুরু হয় গর্ভধারণ। যদি নির্দিষ্ট মাসিকের মধ্যে গর্ভধারণ না ঘটে তাহলেই কেবল পরবর্তী মাসিক রজঃস্রাব শুরু হয়।


রজঃচক্র বা মাসিক চক্র প্রাইমেট গোত্রের ১০ টি প্রজাতির মাঝে দেখা যায়, যেমন শিম্পাঞ্জি, ওরাংওটাং ইত্যাদি। এ ছাড়া অন্য গোত্রের মধ্যে চার প্রজাতির বাদুর, এলিফ্যান্ট শ্রূ, এবং স্পিনি ইঁদুর এর ক্ষেত্রে এটা দেখা যায়।


পল্লী বাংলার মায়াময় কোলে  ছোটবেলা আনন্দ অভিসারে কাটলেও যখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকি  জীবনের এ কালোচক্রটি ঝেপে আসতে থাকে। নানা রকম অলিখিত বিধিনিষেধ আটতে রাখতে চায় পথ। একসময় জানতে পারি এ রক্তচক্রের কথা। শুনতে পাই যোনীপথে বের হয়ে যায় শরীরের নষ্ট রক্ত। মেয়েদের রক্ত এতই খারাপ কেনো হয় যে প্রতিমাসে নষ্ট রক্ত বের করে দিতে হয়! এ প্রশ্ন নিজের মনের ভেতরই উত্তরহীন ছোটাছুটি করে। তাই তো আমাদের গ্রামে বা প্রচলিত বাংলায় এটাকে বলে শরীর খারাপ বা অসুস্থতা।

কারো কারো শারীরিক জটিলতায় প্রচণ্ড পেটে ব্যথা থাকে। কারো কারো কয়েক মাস বন্ধ থাকে আবার হয়, কারো তো রক্তের রঙ লাল নয় হয় কালো। এতে আবার জ্বিন ভূতেরও চোখ নাকি  বেশি থাকে। অন্যান্য অসুস্থতায় বাড়ির সবাই মিলে সেবা সুস্রুষায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে কিন্তু মেয়েদের এ অসুস্থতায় থাকে গোপনীয়তা। মা-বোন জানলেও ভাই ও বাবার কাছ থেকে লুকানো হয়। অর্থাৎ এ অসুস্থতার কথা জানা সকলের ঠিক নয় এটা লজ্জার সে মেয়ের যে ব্যথায় কঁকায়। কঁকাতেও দেয়া হয় না-‘চুপ কর নির্লজ্জ বেহায়া।’ যদিও আমাদের পিতা ছিলেন এক মানবিক পুরুষ। তাঁর মনে কিভাবে এত শিক্ষা জন্মেছিলো যে প্রচণ্ড ধর্মীয় অনুশাসনে চলার পরও মানবিকতা, সরলতার মতোই উদার মননে গড়া মন ছিলো তাঁর। একবার আমার এক বোনের  এরকম ব্যথার কথা কানাঘুষায় অথবা মায়ের কথনে জানতে পেরে কালা কেঁইচ্চা(আঞ্চলিক নাম) নামের একটা লতা জাতীয় কালো রঙের গাছ এনে দেন তার রস খেলে নাকি ঋতুস্রাব ঘটিত ব্যথা সারে। আগে শুনেছি এটা না হলে সন্তান হবার সম্ভাবনা থাকে না তাই  প্রকৃতির নিয়ম। যদিও আমাদের আত্মীয়ের মধ্যে এক মামী ও এক ভাবীর বাচ্চা হত না তাদের বলা হতো বাঁজা বা শুদ্ধ বাংলায় বন্ধ্যা। তাদের জিজ্ঞেস করে জানলাম তাদের মাসিক এ ঋতুস্রাব ঠিকমতোই হতো।  পুরুষটিকে সে বন্ধ্যাত্বের ভার নিতে হতো না। কিন্তু সে ভাবী পরে একজনকে বিয়ে করায় তার সন্তান হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। সে ভাইটিরও দ্বিতীয় বিয়েতে সন্তান হলো। সে অন্য বিষয়। তবে শুধু ঋতুস্রাবই সন্তান ধারণের জন্য একমাত্র বিষয় নয়? তবে নিয়মিত ঋতুমতী নারী সন্তান ধারণে সক্ষম। 


 এটি একটি প্রাকৃতিক নিয়ম। তবে এটাকে কেনো অশুচিতে ফেলা হয়েছে? যা মেয়েটির মধ্যে তৈরি করে ভীতি। তারজন্য প্রয়োজন অতিরিক্ত মানসিক সাপোর্ট ও হৃদ্যতা। তা না করে স্বাভাবিক  নারীর প্রতি অন্যান্য অবদমনের মতোই ধর্ম প্রবর্তনের সাথে সাথে প্রাচীন কুসংস্কার ধর্মের হাত ধরে  অপবিত্রতার খোলসে আটকে ফেলেছে। এ চক্রের পর  নারীর শরীর হয় সুগঠিত, তার সৌন্দর্য বিকশিত হতে থাকে যা ধীরে ধীরে মানসিক পূর্ণতাকেও উজ্জ্বল করে। কিন্তু সমাজে দেখা যায় উল্টো চিত্র। এ নারী এত ভয়াবহ যে তার শরীরে নাকি জমতে থাকে পাপ? আমার এক বোন তো এ পাপের ভয়ে স্কুলে গিয়ে জড়োসড়ো হতে হতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তারপর ছেড়ে দেয় লেখাপড়া। ঋতুমতী নারীর সন্তান পবিত্র কিন্তু নারী অপবিত্র। পূর্বকালে বা এখনো কোথাও কোথাও নারীকে এ সময় বাড়ির বাইরে বা কোন কুঁড়ে ঘরে অবস্থান করতে হয়। এসময় ধর্মীয় কর্মকাণ্ড করা নিষেধ। যদিও ধর্মের আধ্যাত্মিকতায় গিয়ে দেখেছি ধ্যান করায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে প্রচলিত এ প্রার্থনায় বিধিনিষেধের কারণ কী? কারণ সবাই জানে নারীকে দমনের শক্ত হাতিয়ার এটি, যার পশ্চাতে থাকে  ভোগ এবং লিপ্সা। নারী তো এক পণ্য পুরুষের তাকে ভোগ ও দমন করাই আরাধনা।


যাই হোক এ রকম মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে আমারও বড় হওয়া। আমাদের পরিবার অনেক কুসংস্কার ছাড়ালেও আমি ক্লাস টেনে উঠার পর যখন ঋতুস্রাবের রক্তক্ষরণ শুরু হলো এক বোন ছাড়া কাউকে বলিনি। মা লক্ষ্য করলেন আমি নামাজের বিছানায় বসছি বটে কিন্তু নামাজ পড়ছি না। আমাকে জিজ্ঞেস করে উত্তর না পেয়ে মারলেন। আমি মার খেয়েও বলছি না এত লজ্জার বিষয়টা। যদিও আমাদের মা জীবনের সব কথাই আমাদের সাথে গল্প করতেন। কিন্তু প্রথম ঋতুস্রাবের কথা বলতে পারিনি লজ্জায়। পরে আমার সে বোন মাকে বলে আমাকে উদ্ধার করে।


কিন্তু কথা হলো এ সময়টা আমরা কিভাবে নিজেকে এ নাপাক রক্ত ততোধিক নাপাক পরিবেশ  থেকে উদ্ধার করতাম। তখন স্যানেটারি ন্যাপকিন ছিলো না। শহরে থাকলেও তা ব্যবহার করার কথা কেউ কখনো ভাবতে পারত না। আমরা বাড়ির পুরনো কাপড়ের গাঁট থেকে কাপড় ব্যবহার করতাম। কিন্তু এমন নয় তা একবার ব্যবহার করে ফেলে দিতাম। অন্যান্যের দেখাদেখি সেটাকে ধুয়ে শুকোতে দিতাম। ততদিনে গাছের পায়খানা ছেড়ে পাকা পায়খানা  হয়েছে বটে কিন্তু বর্জ্যগুলো অপসারিত হয়ে পেছনের দিকে করা গর্তে পড়ে  খোলাই থাকতো । তাই সেটি বাগানের শেষ মাথায়ই থাকতো বেশিরভাগ। সেদিকে তেমন একটা লোকজন যাতায়াত করতো না। তাই ঋতুমতীদের ব্যবহৃত কাপড় ল্যাট্রিনের পেছন দিকে একটা তারে ঝুলিয়ে রাখা হতো শুকানোর জন্য। প্রতিটা পাকা পায়খানার পেছনে এরকম ঝুলানো থাকতো কাপড়। শুকোলে বা বৃষ্টির দিনে কেউ ঘরে আনলেও লুকিয়ে রাখতো। যাদের পাকা পায়খানা ছিলো না তারা শুকনো নারিকেল বা সুপুরি পাতার বেড়ার চিপাচাপায় লুকিয়ে রাখতো। আবার পরবর্তী সময়ে  ব্যবহার করতো। বলাই বাহুল্য তখন এগুলো সাবান দিয়ে ধৌত করা হতো না। ধোয়ার কথা কেউ ভাবতও না। সবাই মাটি দিয়ে হাত ধুত পুকুর ঘাটে। আর পুকুর ঘাটে এসব অপবিত্র কাপড় ধুলে অপবিত্র হয়ে যাবে পুরো কুল।


কিন্তু গ্রাম ছেড়ে যখন শহরে আসি জীবন পাল্টে গেল। প্রথমে ভেন্টিলেশনে পাথর চাপা দিয়ে ঝুলালেও পরে এসব রাখার জায়গা হলো আলনার পেছনে সবচেয়ে নীচের সারিতে। উপরে কোনো অব্যবহৃত কাপড়ে ঢেকে রাখাই নিয়ম ছিলো। এ নিয়ম পাল্টানোর কথা কারো মনে আসার কথা নয়! মানুষ অনুসরণ বা অনুকরণ করে অগ্রজ বা গুরুজনদের। কিন্তু আমার জীবন পাল্টে গেলো আমি প্রেম করে বিয়ে করে যখন সংসার শুরু করলাম। আমার স্বামী দ্বিতীয় মাসেই লক্ষ্য করলো আমার এ লুকোচাপা কর্মকাণ্ড। মেয়েদের অসুখের মধ্যে ষাট ভাগই অপরিস্কার কাপড় ব্যবহারের জন্য হয় বুঝিয়েও ক্ষান্ত হলো না। তখন আমরা হুইল বা ৫৭০ কাপড় কাচা সাবান ব্যবহার করতাম কাপড় ধোয়ায়। কিন্তু সে জেট গুড়ো সাবান এনে কাপড়গুলোকে একত্র করে ভেজালো এবং সব ধুয়ে ঘরের মাঝখানে কাপড় শুকানোর রশিতে ঝুলিয়ে শুকোতে দিলো।


আমি হতবাক! এতবড় অঘটন হয়ে গেলো আমার বিশ বছরের সে জীবনে। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞতায় নত হয়ে থাকলাম। যদিও তার আগেই আমি ছিলাম তার প্রেমপত্রে নত, ছিলাম চিরায়ত ভালোবাসার মর্মর আসনে।  মেয়েদের স্তন, যোনী হাত পা, আঙুল, নখ এমনকি পায়ের পাতায় তার ঠোঁটের স্পর্শে বুঝেছি এগুলো কত আদরের , প্রার্থনার মতো পবিত্র সুন্দর ও সুঘ্রাণ। বই পড়ে জেনেছি , যে হরমোনের কারণে নিয়মিত এ রজঃচক্র চলে সে হরমোন নারী শরীরকে সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে এ সময়ের মধ্যে খুব কম নারীর হার্ট এটাক হতে দেখা যায়। নিজেকে পবিত্র, শুদ্ধ, সক্ষম ভেবে গর্ব অনুভব করতে থাকি। ভীষণ অভাবের ঘোরেও বয়ে যেতে থাকে আনন্দের ফল্গুধারা। জীবনের এ সুন্দর রূপ আমার সমকক্ষ বা পূর্ববর্তীগণ বা বর্তমান প্রজন্মের কটি নারী উপলব্ধি করতে পেরেছে! এর উত্তর বেশিরভাগই পারেনি। চতূর্দিকের খবর তো তাই বলে। নারী অস্পৃশ্য বেশিরভাগ পুরুষ তো ভাবেই। আইন ও সামাজিক নিয়মে তারা এটা এতটাই প্রতিষ্ঠিত করেছে যে নারীরা নারীদের তাদের চেয়ে বেশি অস্পৃশ্য ভাবে। যৌনকর্ম কে তারা একচেটিয়া পুরুষের প্রয়োজন মনে করে। অভিজ্ঞতা সন্দর্শনে নিজের যৌনাঙ্গকে গন্ধযুক্ত বলে। ধর্মগ্রন্থে নারীদের দমনকে সঠিক মনে করে।  নারীর আয় নারী ভোগ করতে পারে না এটা সবাই জানে আবার, এটাও সবাই জানে যে কর্মজীবি নারী স্বামীর কাছ থেকে মোহরানা রাখে সংসার পরিচালনার ভার পুরুষের উপর চাপিয়ে রাখে। আর বলাই বাহুল্য এসব নারী ও পুরুষের মাধ্যমে উৎপাদিত সন্তান কতটুকু উন্নত মস্তিষ্কের হবে যদি না তারা গতিমুখী শিক্ষার দ্বারা নিজেকে আলোকিত করতে পারে। একমাত্র সঠিক শিক্ষাই পারে মর্যাদার আসন প্রতিষ্ঠিত করতে। অবশ্য সব বই কী পারে অন্ধত্ব দূর করতে! কোনো এক কবি বলেছেন ‘’ যে বই তোমায় অন্ধ করে/ যে বই তোমায় বন্ধ করে সে বই তুমি ধরবে না।” যেখানে ধর্মগ্রন্থের মাধ্যমে বাড়তি শিক্ষাকে একরকম নিষিদ্ধতার কাতারে ফেলে রাখা হয়েছে। মানুষের মনে বাস করে লোভ আর লাভের জলসা। স্বর্গ বা বেহেস্তে বা হেভেনে শুধু মজাদার খাবার আর পুরুষের অপ্সরীর হাতছানি তাদের অন্ধ করে হাত বাড়িয়ে রাখছে। আর সেখানেও নারীকে দেখতে পাই পুরুষের শত শত কামিনী যোগিনীদের দেখাশোনা করতে নিজেকে প্রস্তুত রাখতে।


তাই তো কর্মজীবি হয়েও নারীরা পুরুষের অধস্থন হয়ে থাকতে ভালোবাসে। যার পরকালে কিছুই নেই আর একালে মাথা উঁচু করে কী লাভ! তাই তো একবিংশ শতকের এ সময়ে বাংলাদেশের মতো একটি মধ্যবর্তী উন্নয়ন দেশে আইন পাশ হয় "নারীরা কাজী হতে পারবে না।" মেয়েরা প্রধানমন্ত্রী হবে, স্পীকার হবে, বিচারপতি হবে, ডিসি হবে, ইউএনও হবে, চেয়ারম্যান মেম্বর হবে কিন্তু কাজি নয়, ইমাম নয়, পুরোহিত নয়, জানাজায় উপস্থিতি নয়। কেননা অন্য কবির ভাষায়“ মানুষ এনেছে ধর্ম/ ধর্ম আনেনি মানুষ কোনো।” বাক্যটা বোধ হয় হওয়ার কথা ছিলো. “পুরুষ এনেছে ধর্ম/ধর্ম আনেনি পুরুষ কোনো।” যারা ধর্ম মানে তাদের কাছে পুরুষের ক্ষমতা চাই; পুরুষের অনধিকার বলবৎ থাকা চাই। পুরুষের কাছে নারীকে নত থাকা চাই। এতে সংবিধান লঙ্ঘন হলেও প্রধানমন্ত্রীর কিছু করার নেই, স্পীকারের কিছু করার নেই, বিচারপতির কিছু করার নেই!!! হায় হতভাগ্য দেশ ও নারী তার আর মুক্তিও নেই!

মুক্তি কি সত্যিই নেই? আছে।  আজ যদি সব মেয়ে এ কালো আইনের বিরুদ্ধে এক হয়। এ আইনের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই লড়ে।  তবেই সরকারের টনক নড়তে বাধ্য বলে আশা কাজ করে।  পারবে কী মেয়েরা কোর্টে সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে।

1643 times read

নারী'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত নারী'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় নারী কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। নারীতে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।