২০০৯ সালে পাকিস্তানে তিন সন্তানের জননী খৃস্টান নারী আসিয়া বিবি (৪৭) এক গরমের দিনে খামারে কাজ করার সময় মুসলমান শ্রমিকদের গ্লাসে চুমুক দিয়ে পানি খেয়েছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত মুসলমান সহকর্মীরা দাবি করেছিলো, মুসলমান না হয়ে তাদের গ্লাসে আসিয়া পানি পান করায় গ্লাসটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে।
এই অজুহাতে তারা আসিয়াকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে চাপ দেয়। আসিয়া তা প্রত্যাখ্যান করলে মুসলমান সহকর্মীদের সঙ্গে তার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
পরে মুসলমান শ্রমিকরা দাবি করে, আসিয়া বিবি ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। আসিয়া বিবি উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হওয়ার কথা স্বীকার করলেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
দেশটির প্রথম নারী হিসেবে ২০১০ সালে পাকিস্তানের ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইনে আসিয়া বিবিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়। এমনকি পাকিস্তানেও তার পক্ষে দাঁড়ান অনেকে। তবে এদের মধ্যে অন্তত দুইজনকে তাদের অবস্থানের কারণে হত্যার শিকার হতে হয়েছে। আসিয়া বিবির পক্ষে কথা বলায় পাঞ্জাবের গভর্নর সালমান তাসিরকে তারই দেহরক্ষী হত্যা করে। আর সেই দেহরক্ষীকে পাকিস্তানে বীর হিসেবে আখ্যায়িত করে তেহরিক-ই-লাব্বা
রায়ের পরপর বিক্ষোভ শুরু করে তেহরিক-ই-লাব্বা
বিকৃত রুচির বিশ্বাসকে রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয় দিয়ে একটি চমৎকার জাহান্নাম হয়ে গেছে পাকিস্তান। ইতিমধ্যে আসিয়া বিবির আইনজীবি সাইফুল মুলুক প্রাণ ভয়ে দেশত্যাগ করেছেন। চরম বিপদের মধ্যে থাকা আসিয়া বিবির স্বামী আশিক মাসিহ তার পরিবারের সদস্যদের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ব্রিটেন, আমেরিকা ও কানাডায় আবেদন করেছেন।